মৃত্যু সনদ কিভাবে করব? মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম
ভূমিকা: মৃত্যু সনদ কেন এবং কাদের জন্য প্রয়োজন?
মানুষের জীবনে জন্ম যেমন একটি স্বাভাবিক ঘটনা, মৃত্যুও তেমনই একটি অনিবার্য বাস্তবতা। মৃত্যুর পর একজন ব্যক্তির আইনি অস্তিত্বের পরিসমাপ্তি ঘটে এবং তার সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিষ্পত্তির জন্য একটি সরকারি দলিলের প্রয়োজন হয়, আর সেটিই হলো মৃত্যু সনদ বা ডেথ সার্টিফিকেট। এই সনদটি মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিষয়, যেমন সম্পত্তি হস্তান্তর, ব্যাংক হিসাব নিষ্পত্তি, বীমার টাকা উত্তোলন, পারিবারিক পেনশন প্রাপ্তি এবং অন্যান্য আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, জনসংখ্যা গণনাসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা প্রণয়নেও মৃত্যু নিবন্ধন তথ্য ব্যবহৃত হয়। এই আর্টিকেলে আমরা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মৃত্যু সনদের জন্য কিভাবে আবেদন করতে হয় এবং মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণের নিয়মাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
মৃত্যু নিবন্ধন ও সনদ প্রাপ্তি: বিস্তারিত আলোচনা
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিটি মৃত্যু নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে এই নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হয়। নির্ধারিত সময়ের পর নিবন্ধন করলে কিছু বিলম্ব ফি প্রযোজ্য হতে পারে।
ক. মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য কারা আবেদন করতে পারবেন?
মৃত ব্যক্তির পরিবারের নিম্নোক্ত সদস্য বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারেন:
- মৃত ব্যক্তির পুত্র, কন্যা বা নিকটতম কোনো আত্মীয়।
- যদি হাসপাতালে বা ক্লিনিকে মৃত্যু হয়, তবে সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
- যদি জেলখানায় মৃত্যু হয়, তবে জেল সুপারিনটেনডেন্ট।
- যদি কোনো যানবাহনে (যেমন: বাস, ট্রেন, লঞ্চ) মৃত্যু হয়, তবে সেই যানবাহনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি।
- এছাড়াও, কোনো এলাকার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের (যেমন: ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা) সদস্য বা অন্য কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি।
লক্ষ্যণীয়: মৃত্যুর ঘটনা যে এলাকায় ঘটবে, সেই এলাকার নিবন্ধক (যেমন: ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে সচিব, পৌরসভার ক্ষেত্রে সচিব বা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে ওয়ার্ড সচিব বা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা) এর নিকট আবেদন করতে হবে।
খ. মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণের পূর্বে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার সময় কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হয়। এগুলো হলো:
- মৃত ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন সনদ (যদি থাকে): এটি আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করে।
- মৃত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) (যদি থাকে)।
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)।
- মৃত্যুর প্রমাণপত্র:
- যদি স্বাভাবিক মৃত্যু হয়: স্থানীয় জনপ্রতিনিধি (যেমন: চেয়ারম্যান/মেয়র/কাউন্সিলর) বা সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারের প্রত্যয়নপত্র।
- যদি অস্বাভাবিক বা দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হয়: পুলিশ রিপোর্টের (জিডি/পোস্টমর্টেম রিপোর্ট) কপি।
- প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কবরস্থান বা শ্মশানের রশিদ।
- সঠিকভাবে পূরণকৃত মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম (নিবন্ধক অফিস থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে বা অনলাইন থেকেও ডাউনলোড করা যেতে পারে)।
গ. মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ ও সনদ প্রাপ্তির পদ্ধতি
বর্তমানে কিছু কিছু এলাকায় অনলাইনে মৃত্যু নিবন্ধনের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরাসরি নিবন্ধক অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হয়। প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ:
- আবেদন ফরম সংগ্রহ: প্রথমেই সংশ্লিষ্ট নিবন্ধক কার্যালয় (ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড অফিস) থেকে মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত আবেদন ফরম সংগ্রহ করুন। কিছু ক্ষেত্রে, BDRIS ওয়েবসাইট থেকেও এই ফরম ডাউনলোড করা যেতে পারে।
- ফরম পূরণ: আবেদন ফরমটি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পূরণ করতে হবে। মৃত ব্যক্তির নাম, পিতা-মাতার নাম, স্বামী/স্ত্রীর নাম (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), মৃত্যুর তারিখ ও সময়, মৃত্যুর স্থান, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, লিঙ্গ, ধর্ম এবং আবেদনকারীর তথ্য সঠিকভাবে লিখতে হবে।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্তকরণ: পূরণকৃত আবেদন ফরমের সাথে উপরে উল্লেখিত প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি সংযুক্ত করুন। মূল কপিগুলোও যাচাইয়ের জন্য সাথে রাখুন।
- আবেদন জমা দান: পূরণকৃত ফরম এবং সংযুক্ত কাগজপত্রসহ আবেদনটি নিবন্ধক কার্যালয়ে জমা দিন।
- তদন্ত ও যাচাই (প্রয়োজনে): কিছু ক্ষেত্রে, নিবন্ধক কার্যালয় থেকে তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সরেজমিনে তদন্ত করা হতে পারে।
- ফি পরিশোধ (যদি প্রযোজ্য): মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি (যদি থাকে) পরিশোধ করতে হবে। মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন করলে সাধারণত কোনো ফি লাগে না। বিলম্বের জন্য সামান্য ফি প্রযোজ্য হতে পারে।
- সনদ সংগ্রহ: আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর এবং সকল তথ্য সঠিক পাওয়া গেলে, নিবন্ধক কার্যালয় থেকে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট তারিখে মৃত্যু সনদ সংগ্রহের জন্য জানানো হবে।
অনলাইন আবেদন (যেখানে প্রযোজ্য): কিছু উন্নত সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভায় অনলাইনে মৃত্যু নিবন্ধনের আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে, BDRIS পোর্টালে গিয়ে “মৃত্যু নিবন্ধন” সেকশনে নির্দিষ্ট নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। তবে, অনলাইন আবেদন করলেও সাধারণত কাগজপত্র সশরীরে জমা দেওয়ার প্রয়োজন হয়।
বাস্তব উদাহরণ: মৃত্যু সনদের জন্য আবেদন
ধরুন, জনাব আকবরের পিতা সম্প্রতি নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন। জনাব আকবর তার পিতার মৃত্যু সনদের জন্য আবেদন করতে চান।
- তিনি প্রথমে তার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম সংগ্রহ করেন।
- তিনি তার পিতার জন্ম নিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত মৃত্যুর প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
- আবেদন ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি সংযুক্ত করেন।
- পূরণকৃত আবেদনপত্র ও কাগজপত্র ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের (নিবন্ধক) নিকট জমা দেন। যেহেতু তার পিতা মৃত্যুর ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন করছেন, তাই কোনো ফি প্রয়োজন হয়নি।
- সচিব মহোদয় কাগজপত্র যাচাই করে আবেদনটি গ্রহণ করেন এবং একটি রশিদ প্রদান করেন।
- প্রায় ৭ কার্যদিবস পর, জনাব আকবর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তার পিতার মৃত্যু সনদ সংগ্রহ করেন।
এই উদাহরণটি একটি সাধারণ প্রক্রিয়ার চিত্র। স্থান ও পরিস্থিতিভেদে সামান্য তারতম্য হতে পারে।
ভিডিও গাইড: মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন প্রক্রিয়া
(উপরের ভিডিওটি একটি ডেমো। এই অংশে মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন সম্পর্কিত একটি বাস্তব এবং শিক্ষামূলক ভিডিও টিউটোরিয়াল যুক্ত করুন।)
টিপস ও পরামর্শ: আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করতে
- সঠিক তথ্য প্রদান: আবেদন ফরমে সকল তথ্য নির্ভুলভাবে প্রদান করুন। বিশেষ করে মৃত ব্যক্তির নাম, পিতা-মাতার নাম এবং মৃত্যুর তারিখ।
- প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র: আবেদন জমা দেওয়ার পূর্বেই সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ ও প্রস্তুত রাখুন।
- সঠিক নিবন্ধক অফিস: মৃত্যুর ঘটনা যে এলাকায় ঘটেছে, সেই এলাকার নিবন্ধক অফিসে আবেদন করুন।
- নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন: সম্ভব হলে মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যেই নিবন্ধনের জন্য আবেদন করুন, এতে বিলম্ব ফি এড়ানো যাবে।
- স্পষ্ট হস্তাক্ষর: আবেদন ফরম হাতে পূরণ করলে স্পষ্ট ও পাঠযোগ্য হস্তাক্ষরে লিখুন।
- একাধিক কপি সংগ্রহ: মৃত্যু সনদ পাওয়ার পর এর কয়েকটি সত্যায়িত ফটোকপি করে রাখুন, যা বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজে লাগতে পারে।
- অনলাইন তথ্য যাচাই: সনদ পাওয়ার পর everify.bdris.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে এর অনলাইন এন্ট্রি যাচাই করে নিতে পারেন (যদি অনলাইন ডাটাবেজে যুক্ত হয়ে থাকে)।
ভবিষ্যতে মৃত্যু নিবন্ধন সেবার আধুনিকায়ন
বাংলাদেশ সরকার নাগরিক সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। মৃত্যু নিবন্ধন সেবার ক্ষেত্রেও ভবিষ্যতে আরও আধুনিকায়ন প্রত্যাশিত:
- সম্পূর্ণ অনলাইন আবেদন ও সনদ প্রাপ্তির ব্যবস্থা দেশব্যাপী চালু হওয়া।
- হাসপাতাল/ক্লিনিক থেকে সরাসরি অনলাইন সিস্টেমে মৃত্যুর তথ্য এন্ট্রি এবং স্বয়ংক্রিয় নিবন্ধন।
- মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন ও সনদ ডাউনলোডের সুবিধা।
- অন্যান্য সরকারি ডাটাবেজের (যেমন: NID, ভূমি) সাথে মৃত্যু নিবন্ধন তথ্যের স্বয়ংক্রিয় সমন্বয়।
এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে মৃত্যু নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, স্বচ্ছ এবং নাগরিকবান্ধব হবে।
উপসংহার: দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে মৃত্যু নিবন্ধন সম্পন্ন করুন
মৃত্যু নিবন্ধন এবং মৃত্যু সনদ প্রাপ্তি কেবল একটি আইনি বাধ্যবাধকতাই নয়, এটি মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের জন্য বিভিন্ন অধিকার ও সুবিধা প্রাপ্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। সঠিক সময়ে এবং সঠিক পদ্ধতিতে মৃত্যু নিবন্ধন সম্পন্ন করা একজন দায়িত্বশীল নাগরিকের কর্তব্য। উপরে আলোচিত নিয়মাবলী ও পরামর্শ অনুসরণ করে আপনি সহজেই আপনার আপনজনের মৃত্যু নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। এতে করে একদিকে যেমন মৃত ব্যক্তির আইনি বিষয়গুলো সুরাহা হবে, অন্যদিকে রাষ্ট্রের সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়নেও আপনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।
FAQ (সাধারণ জিজ্ঞাসা ও উত্তর)
প্রশ্ন ১: মৃত্যু সনদ পেতে কত দিন সময় লাগে?
উত্তর: আবেদনপত্র এবং প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সঠিকভাবে জমা দেওয়ার পর সাধারণত ৭ থেকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে মৃত্যু সনদ পাওয়া যায়। তবে, এটি নিবন্ধক অফিসের কাজের চাপ এবং অন্যান্য পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
প্রশ্ন ২: মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য কি কোনো ফি দিতে হয়?
উত্তর: জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন করলে কোনো ফি লাগার কথা নয়। তবে, এই সময়সীমা অতিক্রম করলে সরকার নির্ধারিত হারে বিলম্ব ফি প্রযোজ্য হতে পারে। এছাড়া, কিছু স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সামান্য সার্ভিস চার্জ নিতে পারে।
প্রশ্ন ৩: যদি মৃত ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন বা NID না থাকে, তাহলে কি মৃত্যু নিবন্ধন করা যাবে?
উত্তর: হ্যাঁ, যাবে। সেক্ষেত্রে, অন্যান্য প্রমাণপত্র (যেমন: ডাক্তারের প্রত্যয়ন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধির প্রত্যয়ন) এবং আবেদনকারীর তথ্যের উপর ভিত্তি করে নিবন্ধন করা হয়। তবে, জন্ম নিবন্ধন বা NID থাকলে প্রক্রিয়াটি সহজ হয়।
প্রশ্ন ৪: মৃত্যু সনদ হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে পুনরায় তোলার উপায় কী?
উত্তর: মৃত্যু সনদ হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে আপনি যে নিবন্ধক কার্যালয় থেকে সনদটি সংগ্রহ করেছিলেন, সেখানে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ফি জমা দিয়ে সনদের কপির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
প্রশ্ন ৫: বিদেশে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক মারা গেলে তার মৃত্যু নিবন্ধন কিভাবে করতে হবে?
উত্তর: বিদেশে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক মারা গেলে, সেই দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বা মিশনের মাধ্যমে তার মৃত্যু নিবন্ধন করা যায়। দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত মৃত্যু সনদটি পরবর্তীতে বাংলাদেশেও বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক ও রিসোর্স
-
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন পোর্টাল (BDRIS)
bdris.gov.bd -
মৃত্যু নিবন্ধন তথ্য যাচাই (প্রয়োজনে)
everify.bdris.gov.bd -
আবেদন ফরম (ডাউনলোড লিংক)
BDRIS পোর্টালে “ফরমসমূহ” সেকশনে পাওয়া যেতে পারে অথবা স্থানীয় নিবন্ধক অফিস থেকে সংগ্রহ করুন।
-
নিকটস্থ নিবন্ধক কার্যালয়
আপনার ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস।
আপনার মতামত ও জিজ্ঞাসা
মৃত্যু নিবন্ধন বা মৃত্যু সনদ সম্পর্কিত আপনার কোনো প্রশ্ন বা অভিজ্ঞতা থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে আমাদের সাথে শেয়ার করুন। আমরা সাধ্যমত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। এমন আরও তথ্যপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের নিউজলেটারে সাবস্ক্রাইব করতে পারেন।