২০২৫ সালে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সংশোধনের পূর্ণাঙ্গ গাইড

By admin
17 Min Read



Contents
২০২৫ সালে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সংশোধনের পূর্ণাঙ্গ গাইডNID সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা ও কারণNID-তে কী কী তথ্য সংশোধন করা যায়?NID সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসাধারণ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:নির্দিষ্ট তথ্য সংশোধনের জন্য অতিরিক্ত কাগজপত্র:অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া (ধাপে ধাপে)ধাপ ১: NID পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন (যদি পূর্বে না করে থাকেন)ধাপ ২: পোর্টালে লগইন ও প্রোফাইল দেখাধাপ ৩: তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদনধাপ ৪: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোডধাপ ৫: আবেদন ফি প্রদানধাপ ৬: আবেদন সাবমিট ও স্লিপ ডাউনলোডআবেদনের স্ট্যাটাস ট্র্যাকিংসময়সীমাসতর্কতা ও পরামর্শসাধারণ প্রশ্নাবলী (FAQ)পরবর্তী পদক্ষেপপ্রয়োজনীয় রেফারেন্স লিংক



২০২৫ সালে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সংশোধনের পূর্ণাঙ্গ গাইড



২০২৫ সালে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সংশোধনের পূর্ণাঙ্গ গাইড

জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি অপরিহার্য দলিল। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে চাকরির আবেদন, পাসপোর্ট তৈরি, জমি রেজিস্ট্রেশন এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অপরিসীম। অনেক সময় অসাবধানতাবশত বা অন্যান্য কারণে NID-তে বিভিন্ন ধরনের ভুল তথ্য থাকতে পারে। এই ভুল তথ্য সংশোধন করা অত্যন্ত জরুরি। বর্তমান ডিজিটাল যুগে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অনলাইনে NID সংশোধনের সুযোগ فراهم করেছে, যা প্রক্রিয়াটিকে করেছে আরও সহজ ও সময়সাশ্রয়ী। এই গাইডে আমরা ২০২৫ সালে অনলাইনে NID সংশোধনের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

NID সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা ও কারণ

বিভিন্ন কারণে NID সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণ কারণগুলো হলো:

  • করণিক ত্রুটি: তথ্য অন্তর্ভুক্তির সময় টাইপিং বা বানানের ভুল।
  • ব্যক্তিগত তথ্যের পরিবর্তন: যেমন – বিবাহ বা বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে নামের পরিবর্তন, স্থায়ী বা বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন।
  • জন্মতারিখের ভুল: سهواً বা ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল জন্মতারিখ প্রদান।
  • রক্তের গ্রুপ পরিবর্তন: পূর্বে ভুল তথ্য দেওয়া থাকলে।
  • ছবি বা স্বাক্ষর পরিবর্তন: সময়ের সাথে সাথে চেহারার পরিবর্তন বা আরও স্পষ্ট ছবি/স্বাক্ষর প্রদানের প্রয়োজন।

সঠিক ও নির্ভুল তথ্য সংবলিত NID থাকা আইনগত এবং নাগরিক অধিকারের দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।

NID-তে কী কী তথ্য সংশোধন করা যায়?

অনলাইনে সাধারণত নিম্নলিখিত তথ্যগুলো সংশোধন বা হালনাগাদ করার জন্য আবেদন করা যায়:

  • নাম (বাংলা ও ইংরেজি): নিজের নাম, পিতা ও মাতার নাম।
  • জন্মতারিখ: সঠিক জন্মতারিখ।
  • ঠিকানা: স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা।
  • রক্তের গ্রুপ।
  • স্বাক্ষর।
  • ছবি।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা।
  • পেশা।
  • বৈবাহিক অবস্থা।
  • ধর্ম।
  • মোবাইল নম্বর ও ইমেইল আইডি।

কিছু জটিল সংশোধন, যেমন – সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন বা আঙ্গুলের ছাপ সংক্রান্ত বিষয়ে সরাসরি উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করার প্রয়োজন হতে পারে।

NID সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

সংশোধনের ধরনের ওপর নির্ভর করে প্রয়োজনীয় কাগজের তালিকা পরিবর্তিত হতে পারে। নিচে একটি সাধারণ তালিকা এবং কিছু নির্দিষ্ট সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ কাগজপত্র উল্লেখ করা হলো:

সাধারণ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • বিদ্যমান NID কার্ডের রঙিন স্ক্যান কপি।
  • অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের (BRN) রঙিন স্ক্যান কপি (যাতে ১৭ সংখ্যার নম্বর স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে)।
  • নাগরিকত্ব সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  • পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/টিন সার্টিফিকেটের কপি (যদি থাকে এবং তথ্যের সমর্থনে প্রয়োজন হয়)।

নির্দিষ্ট তথ্য সংশোধনের জন্য অতিরিক্ত কাগজপত্র:

  • নিজের নাম/পিতা-মাতার নাম সংশোধন:
    • এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদ (শিক্ষিতদের জন্য আবশ্যক)।
    • বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে স্বামীর নামের অংশ যোগ করতে চাইলে কাবিননামা এবং স্বামীর NID কার্ডের কপি। বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাকনামা।
    • পিতা/মাতার নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তাদের NID এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ।
    • সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি (যদি প্রযোজ্য হয়)।
    • নোটারি পাবলিকের হলফনামা (Affidavit)।
  • জন্মতারিখ সংশোধন:
    • এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদ (শিক্ষিতদের জন্য আবশ্যক)।
    • পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে এবং জন্মতারিখ উল্লেখ থাকে)।
    • সার্ভিস বুক/পেনশন অর্ডার (চাকরিজীবীদের জন্য)।
    • ভাই-বোনের NID কার্ডের কপি (যাতে বয়সের সামঞ্জস্য দেখানো যায়)।
  • ঠিকানা সংশোধন:
    • বাড়ি/জমির দলিলের কপি।
    • ইউটিলিটি বিলের (বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানি) রঙিন স্ক্যান কপি (সর্বশেষ পরিশোধিত)।
    • বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র (যদি ভাড়া বাসায় থাকেন)।
    • ওয়ার্ড কাউন্সিলর/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র।
  • ছবি পরিবর্তন: সাধারণত অনলাইনে ছবি পরিবর্তনের আবেদন করা গেলেও, অনেক সময় বায়োমেট্রিক আপডেটের জন্য নির্বাচন অফিসে যেতে হতে পারে।
  • স্বাক্ষর পরিবর্তন: নতুন স্বাক্ষরের স্ক্যান কপি।
  • রক্তের গ্রুপ সংশোধন: রেজিস্টার্ড ডাক্তার বা ক্লিনিক থেকে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার রিপোর্টের কপি।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: সকল কাগজপত্র অবশ্যই প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা বা নোটারি পাবলিক কর্তৃক সত্যায়িত করে স্ক্যান করতে হবে (যদি ওয়েবসাইটে তেমন নির্দেশনা থাকে)। তবে বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে স্ব-সত্যায়িত কপিও গ্রহণ করা হয়। আবেদনের সময় পোর্টালের নির্দেশনা অনুসরণ করুন।

অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া (ধাপে ধাপে)

২০২৫ সালে NID সংশোধনের অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া নিম্নরূপ হতে পারে:

ধাপ ১: NID পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন (যদি পূর্বে না করে থাকেন)

  1. প্রথমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের NID Application System (services.nidw.gov.bd) ওয়েবসাইটে যান।
  2. “রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করতে চাই” অপশনে ক্লিক করুন।
  3. আপনার NID নম্বর অথবা ফরম নম্বর, জন্মতারিখ, এবং ক্যাপচা কোড সঠিকভাবে পূরণ করুন।
  4. পরবর্তী ধাপে আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার বিস্তারিত তথ্য (বিভাগ, জেলা, উপজেলা) নির্বাচন করুন।
  5. আপনার মোবাইল নম্বর দিন। প্রদত্ত নম্বরে একটি ভেরিফিকেশন কোড (OTP) পাঠানো হবে।
  6. সঠিক OTP দিয়ে মোবাইল নম্বর ভেরিফাই করুন।
  7. এরপর, একটি ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড সেট করুন। এই ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড পরবর্তীতে লগইন করার জন্য প্রয়োজন হবে।

ধাপ ২: পোর্টালে লগইন ও প্রোফাইল দেখা

  1. রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে অথবা পূর্বে রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে, ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড এবং ক্যাপচা কোড দিয়ে পোর্টালে লগইন করুন।
  2. লগইন করার পর আপনি আপনার NID-এর বিস্তারিত তথ্য দেখতে পাবেন।

ধাপ ৩: তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন

  1. প্রোফাইলের উপরের দিকে “তথ্য পরিবর্তন” বা “এডিট প্রোফাইল” বা সমতুল্য কোনো অপশনে ক্লিক করুন।
  2. আপনি যে তথ্যগুলো পরিবর্তন করতে চান, সেগুলোর পাশের টিক বক্সে ক্লিক করুন।
  3. পরবর্তী ধাপে, পরিবর্তিত সঠিক তথ্যগুলো সাবধানে টাইপ করুন। বাংলা তথ্যের জন্য ইউনিকোড (অভ্র/বিজয়) ব্যবহার করুন।

ধাপ ৪: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড

  1. প্রতিটি সংশোধনের স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্রের স্ক্যান কপি (সাধারণত JPG, PNG বা PDF ফরম্যাটে, নির্দিষ্ট সাইজের মধ্যে) আপলোড করুন।
  2. কাগজপত্র আপলোডের সময় ফাইলের সাইজ এবং ফরম্যাট সম্পর্কে পোর্টালের নির্দেশনা অনুসরণ করুন।

ধাপ ৫: আবেদন ফি প্রদান

  1. আবেদন সাবমিট করার পর আপনাকে একটি ফি পরিশোধ করতে হবে। ফি-এর পরিমাণ সংশোধনের ধরনের ওপর নির্ভর করে।
  2. সাধারণত মোবাইল ব্যাংকিং (যেমন: বিকাশ, রকেট, নগদ) বা অনলাইন ব্যাংকিং/কার্ডের মাধ্যমে ফি পরিশোধের ব্যবস্থা থাকে।
  3. পোর্টালের নির্দেশনা অনুযায়ী ফি পরিশোধ সম্পন্ন করুন এবং পেমেন্টের প্রমাণ (ট্রানজেকশন আইডি) সংরক্ষণ করুন। সাধারণ তথ্য সংশোধনের জন্য ২৩০ টাকা, অন্যান্য তথ্যের জন্য ৩৪৫ টাকা এবং উভয় প্রকার তথ্য সংশোধনের জন্য ৫৭৫ টাকা লাগতে পারে (এই ফি পরিবর্তন সাপেক্ষ)।

ধাপ ৬: আবেদন সাবমিট ও স্লিপ ডাউনলোড

  1. ফি পরিশোধ নিশ্চিত হওয়ার পর আপনার আবেদন চূড়ান্তভাবে সাবমিট করুন।
  2. সাবমিট করার পর একটি অ্যাপ্লিকেশন স্লিপ বা কনফার্মেশন পেজ আসবে। এটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে রাখুন। এই স্লিপে একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি থাকবে যা পরবর্তীতে আবেদনের স্ট্যাটাস ট্র্যাক করতে কাজে লাগবে।

আবেদনের স্ট্যাটাস ট্র্যাকিং

আবেদন সাবমিট করার পর আপনি নিয়মিত আপনার আবেদনের স্ট্যাটাস NID পোর্টাল থেকে ট্র্যাক করতে পারবেন:

  1. NID পোর্টালে (services.nidw.gov.bd) লগইন করুন।
  2. আপনার প্রোফাইলে “আবেদনের স্ট্যাটাস” বা সমতুল্য কোনো অপশন থাকবে।
  3. সেখানে আপনার অ্যাপ্লিকেশন আইডি দিয়ে স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।
  4. এছাড়াও, আবেদনের অগ্রগতি সম্পর্কে আপনাকে SMS-এর মাধ্যমেও জানানো হতে পারে।

সময়সীমা

NID সংশোধনের আবেদনের নিষ্পত্তি হতে সাধারণত ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবস সময় লাগতে পারে। তবে এটি নির্ভর করে সংশোধনের ধরন, তথ্যের জটিলতা এবং সংশ্লিষ্ট অফিসের কাজের চাপের ওপর। কিছু ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশি সময়ও লাগতে পারে।

  • সাধারণ তথ্য পরিবর্তন (যেমন ঠিকানা, রক্তের গ্রুপ): ৭-১৫ কার্যদিবস।
  • নাম বা জন্মতারিখ পরিবর্তন: ১৫-৪৫ কার্যদিবস বা তার বেশি।

সতর্কতা ও পরামর্শ

  • সঠিক তথ্য প্রদান: আবেদনের সময় সকল তথ্য নির্ভুলভাবে প্রদান করুন। ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিলে আবেদন বাতিল হতে পারে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে স্ক্যান করে আপলোড করুন। অস্পষ্ট বা ভুল কাগজপত্রের কারণে আবেদন প্রক্রিয়াকরণে বিলম্ব হতে পারে।
  • ফি পরিশোধ: নির্ধারিত পদ্ধতিতে সঠিক পরিমাণ ফি পরিশোধ করুন এবং পেমেন্টের প্রমাণ সংরক্ষণ করুন।
  • পাসওয়ার্ড সুরক্ষা: আপনার NID অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড কারো সাথে শেয়ার করবেন না।
  • তৃতীয় পক্ষের সহায়তা: নিজে আবেদন করতে অপারগ হলে বিশ্বস্ত কারো সহায়তা নিন। তবে, দালাল বা প্রতারক চক্র থেকে সাবধান থাকুন।
  • অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার: সর্বদা নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (services.nidw.gov.bd) ব্যবহার করুন।
  • যোগাযোগ: প্রয়োজনে আপনার স্থানীয় উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন অথবা NID হেল্পলাইন ১০৫ নম্বরে কল করুন।

সাধারণ প্রশ্নাবলী (FAQ)

প্রশ্ন ১: NID সংশোধনের জন্য কত টাকা ফি লাগে?
উত্তর: NID সংশোধনের ফি সংশোধনের ধরনের ওপর নির্ভর করে। সাধারণ তথ্য (যেমন ঠিকানা, পেশা) সংশোধনের জন্য সাধারণত ২৩০ টাকা, অন্যান্য তথ্য (যেমন নাম, জন্মতারিখ) সংশোধনের জন্য ৩৪৫ টাকা, এবং উভয় প্রকার তথ্য একসাথে সংশোধনের জন্য ৫৭৫ টাকা লাগতে পারে। এই ফি সরকার কর্তৃক পরিবর্তিত হতে পারে। সর্বশেষ ফি জানতে NID পোর্টাল দেখুন।
প্রশ্ন ২: NID সংশোধনের আবেদন কতদিনে সম্পন্ন হয়?
উত্তর: সাধারণত ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে আবেদন সম্পন্ন হয়। তবে এটি সংশোধনের জটিলতা ও সংশ্লিষ্ট অফিসের কাজের চাপের ওপর নির্ভর করে।
প্রশ্ন ৩: আমি কি অনলাইনে নিজের ছবি এবং স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে পারবো?
উত্তর: অনলাইনে ছবি ও স্বাক্ষর পরিবর্তনের জন্য আবেদন করা গেলেও, অনেক সময় বায়োমেট্রিক আপডেটের (ছবি তোলা, আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশ স্ক্যান) জন্য আপনাকে সশরীরে নির্ধারিত নির্বাচন অফিসে যেতে হতে পারে।
প্রশ্ন ৪: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি সত্যায়িত করতে হবে?
উত্তর: পূর্বে কিছু কাগজ সত্যায়িত করার প্রয়োজন হতো। তবে বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে স্ব-সত্যায়িত বা সত্যায়ন ছাড়াই স্ক্যান কপি গ্রহণ করা হয়। আবেদনের সময় NID পোর্টালের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুসরণ করাই শ্রেয়।
প্রশ্ন ৫: আবেদন বাতিল হলে করণীয় কী?
উত্তর: আবেদন বাতিল হলে বাতিলের কারণ উল্লেখ করে সাধারণত আপনাকে জানানো হবে। কারণ অনুযায়ী সঠিক তথ্য ও কাগজপত্রসহ পুনরায় আবেদন করতে পারেন অথবা প্রয়োজনে সরাসরি সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।
প্রশ্ন ৬: আমার বয়স ১৮ বছরের কম, আমি কি NID সংশোধনের আবেদন করতে পারবো?
উত্তর: NID পাওয়ার জন্য ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর হতে হয়। যদি আপনার NID কার্ড থাকে এবং তাতে কোনো ভুল থাকে, তবে আপনি সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

পরবর্তী পদক্ষেপ

অনলাইনে আবেদন সাবমিট করার পর:

  1. নিয়মিত আপনার আবেদনের স্ট্যাটাস চেক করুন।
  2. নির্বাচন অফিস থেকে কোনো তথ্যের জন্য বা সাক্ষাৎকারের জন্য SMS বা কল আসতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
  3. আবেদন অনুমোদিত হলে, আপনাকে নতুন NID কার্ড সংগ্রহের জন্য (যদি প্রয়োজন হয়) বা অনলাইন থেকে ডাউনলোড করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে।
  4. কিছু ক্ষেত্রে, সংশোধিত তথ্যসহ একটি সাময়িক NID কপি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করার সুযোগও থাকতে পারে।

আশা করি, এই পূর্ণাঙ্গ গাইডটি ২০২৫ সালে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অনলাইনে সংশোধন করতে সহায়ক হবে। সঠিক তথ্য দিয়ে দেশের একজন সুনাগরিক হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করুন।


Share This Article
Leave a Comment